1. admin@dailyporibesh.com : pori@admin :
  2. poribesh11@gmail.com : poribesh admin : poribesh admin
শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ০৮:৪২ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম:
কেন্দ্র সচিবসহ ২১ জন শিক্ষককে অব্যাহতি মাথায় কাফনের কাপড়, মুখে লড়াই করে বাঁচার স্লোগান মিঠাপুকুরে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে ভেজাল গুড় তৈরি, জরিমানা ২ লাখ। রংপুরে বদরগঞ্জে আলোচিত লাভলু হত্যাকারির বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ  মিঠাপুকুরে আইনের তোয়াক্কা না করে ঘর বাড়ী ভাঙচুর নিখোঁজের দুইদিন পর সবজি ব্যবসায়ীর লাশ উদ্ধার শেরপুরে শ্রীরবর্দীতে সাড়ে তিন বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে বৃদ্ধ গ্রেপ্তার রংপুরে বদরগঞ্জে বিএনপি নেতা লাভলু হত্যাকারিদের ফাঁসি’র দাবিতে  মানববন্ধন  নাগেশ্বরীতে ইউনিয়ন প্যানেল চেয়ারম্যান গ্রেফতার রংপুরে এসএসসি পরীক্ষার প্রথম দিন  বহিস্কার ৫, অনুপস্থিত ৫৭৭ জন

এন্ড্রু কিশোরের প্রথম প্লেব্যাক নিয়ে অজানা তথ্য

  • প্রকাশিত: শনিবার, ৬ জুলাই, ২০২৪
  • ৩১২ বার শেয়ার হয়েছে

গল্পটা অনেকেরই অজানা। যে মানুষটা জীবদ্দশায় কণ্ঠে তুলেছেন ১৫ হাজারেরও বেশি গান, পেয়েছেন ‘প্লেব্যাক সম্রাট’ উপাধি; সেই মানুষটার প্রথম প্লেব্যাক আজও মুক্তি পায়নি। অবিশ্বাস্য লাগলেও এটাই সত্যি।

সালটা ১৯৭৭, এন্ড্রু কিশোর তখনও থাকেন রাজশাহীতে। সেখানে থেকেই এলেন ঢাকায়। আলম খানের সুরে গান করলেন নির্মাতা শিবলী সাদিকের ‌‘মেইল ট্রেন’ সিনেমায়। গানের শিরোনাম ‘অচিনপুরের রাজকুমারী নেই যে তার কেউ’। কিন্তু সেই সিনেমা কখনও মুক্তি পায়নি। আলোর মুখ দেখেনি তার গাওয়া প্রথম সিনেমার গানও।

এ বিষয়ে এক সাক্ষাৎকারে এন্ড্রু কিশোর বলেছিলেন, সিনেমায় প্রথম গান রিলিজ হয়নি। তবুও আমি আশা ছাড়িনি। বিশ্বাস ছিল একদিন হবেই।

হয়েছিলও তাই। পরিচালক বাদল রহমানের শিশুতোষ চলচ্চিত্র ‘এমিলের গোয়েন্দা বাহিনী’তে গান করে ক্যারিয়ারের মোড় ঘুরে যায় এন্ড্রু কিশোরের।

বিষয়টি নিয়ে এক সাক্ষাৎকারে প্রয়াত এই গায়ক বলেছিলেন, পরিচালক বাদল রহমানের সঙ্গে বিশিষ্ট সঙ্গীতজ্ঞ আলম খানের ছিল অনেকটাই বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক। বাদল রহমানের শিশুতোষ এক্সপেরিমেন্টাল প্রজেক্ট ‘এমিলের গোয়েন্দা বাহিনী’ সিনেমায় মিসেস আলম খানের অনুরোধে আমাকে দিয়ে ‘ধুমধাড়াক্কা ধুম’ গানটি গাওয়ান। এটিই ছিল আমার ক্যারিয়ারের টার্নিং পয়েন্ট। মিসেস আলম ভাবি যদি সে সময় আমাকে এতটুকু সহযোগিতা না করতেন তবে হয়তো বা আমাকে আজও অনেক পেছনেই পড়ে থাকতে হতো। আমি সত্যিই তার প্রতি কৃতজ্ঞ।

এরপর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি এন্ড্রু কিশোরের। উপহার দিয়েছেন একের পর এক জনপ্রিয় সব গান। কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ পেয়েছেন আটবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার, পাঁচবার বাচসাস পুরস্কার ও দুই বার মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কারসহ অসংখ্য পুরস্কার ও সম্মাননা।

তার গাওয়া গানের মধ্যে ‘আমার সারা দেহ খেয়ো গো মাটি’, ‘হায়রে মানুষ রঙিন ফানুস দম ফুরাইলে ঠুস’, ‘ডাক দিয়াছেন দয়াল আমারে’, ‘কারে দেখাব মনের দুঃখ গো’, ‘ভালো আছি ভালো থেকো’, ‘পড়ে না চোখের পলক’, ‘তোমায় দেখলে মনে হয়’, ‘সবাই তো ভালোবাসা চায়’, ‘আমার বাবার মুখে প্রথম যেদিন’,‘বেদের মেয়ে জোছনা আমায়’, ‘তুমি আমার জীবন, আমি তোমার জীবন’ ‘আমি চিরকাল প্রেমের কাঙাল’, ‘জীবনের গল্প আছে বাকি অল্প’, ‘আমার বুকের মধ্যেখানে’, ‘এক জনমে ভালোবেসে ভরবে না মন, ভরবে না’, ‘প্রেমের সমাধি ভেঙে’,‘কী যাদু করিলা’, ‘এক বিন্দু ভালোবাসা দাও’ উল্লেখযোগ্য।

চার বছর হয়ে গেল এন্ড্রু কিশোর নেই চোখের দেখায়। তবুও হাজারও গানে আগের মতোই জীবন্ত হয়ে আছেন তিনি শ্রোতাদের মণিকোঠায়। থাকবেন আরও বহুকাল।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন

কপিরাইট © ২০২৪ (দৈনিক পরিবেশ)  সম্পাদক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।

কারিগরি সহযোগিতায়: জাগো হোষ্টার বিডি