প্রিন্ট এর তারিখঃ এপ্রিল ২০, ২০২৫, ৪:২১ এ.এম || প্রকাশের তারিখঃ জুলাই ৯, ২০২৪, ৩:০২ পি.এম
মিঠাপুকুরে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অপপ্রচারের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

পরিবেশ প্রতিবেদক
রংপুরের মিঠাপুকুরে মিয়ারহাট আদর্শ নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক বাদল মিয়া ও সহকারী শিক্ষক কামরুল আলমের বিরুদ্ধে অপপ্রচার এবং গাছ চুরি করে বিক্রি করার মিথ্যা অপবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে বিদ্যালয়ের শিক্ষক কর্মচারী এবং কমিটির সদস্য বৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
মঙ্গলবার (৯-জুলাই) দুপুর আনুমানিক দুইটার সময় মিঠাপুকুর উপজেলার ০৬ নং কাফ্রিখাল ইউনিয়নের মিয়ারহাট আদর্শ নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অফিস কক্ষে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে মিয়ার হাট আদর্শ নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক, বাদল মিয়া অভিযোগ করে বলেন, বেশ কিছুদিন থেকে একটি কুচক্রী মহল বিদ্যালয়ের সুনাম নষ্ট করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। বিভিন্ন সময়ে তাঁরা বিদ্যালয় এবং আমাকে নিয়ে অপপ্রচার চালিয়ে আসছে। এরপূর্বে বিদ্যালয়ে ঢুকে আমাকে মারধর এবং বিদ্যালয় ভাংচুর করা হয়েছে। আদালতে এ সংক্রান্ত মামলা চলমান রয়েছে। এরই সূত্র ধরে, ঘটনার দিন শুক্রবার (৪-জুলাই) ঝড়বৃষ্টিতে বাতাসে হেলিয়ে পড়া বিদ্যালয়ের একটি ইউক্লিপট্যাস গাছ অপসারণ করাকে কেন্দ্র করে ওই কুচক্রী মহল আমার বিরুদ্ধে নিয়মবহির্ভূত গাছ কাটার অভিযোগ তুলে ষড়যন্ত্র এবং মিথ্যা অপবাদ রটায়। যেখানে তারা উল্লেখ্য করে, আমি গাছ কর্তন করে চুরি করে বিক্রি করি।এমনকি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এসব মিথ্যা অপবাদ ছড়ায়।
তিনি বলেন, বিদ্যালয় মাঠে গাছটি পড়ে থাকায় শিশুদের চলাচলে অসুবিধা হওয়ায় কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক এবং শিক্ষকদের সঙ্গে আলোচনা করে যথাযথ রেজুলেশন মূলে গাছটি স্থানীয় এক কাঠ ব্যবসায়িকে অপসারণের অনুমতি দেওয়া হয়। তিনি গাছটি অপসারণ করে বিদ্যালয়ে ২৫০০ টাকা প্রদান করেন। যাহা দিয়ে বিদ্যালয়ের একটি ফ্যান ক্রয় করা হয়েছে। এসময় তিনি রেজুলেশন এবং ভাউচার দেখান।ম্যানেজিং কমিটির সদস্য রুহুল আমিন বলেন, গাছের টাকা দিয়ে একটি ফ্যান ক্রয় করা হয়েছে। ছোট একটি গাছ নিয়ে এতকিছু হবে,আমরা বুঝতে পারিনি। তিনি বলেন, এই কুচক্রী মহল বিদ্যালয়ের বালু চুরি করে নিয়ে গিয়েছে। স্কুল মাঠে এবং ঘরে মাদক সেবন করে বিদ্যালয়ের সুনাম নষ্ট করছে। সহকারী শিক্ষক কামরুল আলম বলেন, গাছকে ইস্যু করে অপপ্রচার চালানো হলেও মূলত বিষয়টি ভিন্ন।
ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি, শাহজাদা সরকার সোহাগ বলেন, গাছ রেজুলেশন মূলে অপসারণ করে বিদ্যালয়ের একটি ফ্যান ক্রয় করা হয়েছে। এখানে শিক্ষকদের দোষের কিছু দেখিনা। এঁরা শিক্ষার মান ব্যাহত করতে গাছ কাটার মিথ্যা অপবাদ রটিয়ে হয়রানি করার চেষ্টা করছে।
Copyright © 2025 দৈনিক পরিবেশ. All rights reserved.