✒️শাকিল আহমেদ
আজ ২৯ শে আগস্ট (বৃহস্পতিবার)রংপুর, মিঠাপুকুরে ফকির হাট পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সহ কয়েক জন সহকারী শিক্ষকের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগে আন্দোলন করেন উক্ত বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থী, বর্তমান শিক্ষার্থী,অভিভাবক বৃন্দ ও জনসাধারণ ।
শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আমিরুজ্জামান বুলবুলের প্রতি অভিযোগ ছিল তিনি শিক্ষার্থীদের সাথে বিরূপ আচরণ করেন এবং শিক্ষার্থীদের পাঠদানে অনিয়মিত ছিলেন। সেই শিক্ষার্থীরা দাবি জানান,ফকির হাট পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয়ের নিয়োগ বানিজ্য থেকে শুরু করে ও বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির অবর্তমানে যাবতীয় অভ্যন্তরীণ আয় ও ব্যায় সঠিক হিসাব উপস্থাপন করতে হবে। যদি সঠিক ভাবে হিসাবের জবাব উপস্থাপন না করতে পারেন তাহলে প্রধান শিক্ষককে পদত্যাগের দাবি জানান বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
প্রধান শিক্ষকের সাথে কথা বললে, তিনি জানান আমি বিদ্যালয়ের সমস্ত হিসাব নিকাশ দিতে সদা প্রস্তুত। আর যেসব অভিযোগ আমার বিরুদ্ধে নিয়ে আসা হয়েছে এগুলো সব মিথ্যা ছিল।
এছাড়া কয়েকজন জন সহকারী শিক্ষকের প্রতি অভিযোগ তুলেন শিক্ষার্থীরা।
সহকারী শিক্ষক,মোজাহার হোসেন (মন্টু) শ্রেণিতে শিক্ষার্থীদের প্রেমপ্রীতি গল্প, বিদ্যালয়ের প্রশাসনিক নিয়ম কানুন মানেন না, নারী কেলেঙ্কারীর সঙ্গে সম্পৃক্ত ইত্যাদি বিষয়ে অভিযোগ তুলে শিক্ষার্থীরা বলেন চরিত্রহীন শিক্ষকের আমরা বাধ্যতামূলক পদত্যাগ চাই।
লাইব্রেরীয়ান, রেজাউল করিম বাবলুর বিরুদ্ধে ভুয়া সনদপত্রের ভিত্তিতে বিদ্যালয়ে কর্মরত, ক্লাসে পাঠদানে অদক্ষ ইত্যাদি অভিযোগ তুলে ধরেন শিক্ষার্থীরা। এছাড়া সহকারী শিক্ষক সেলিম , ল্যাব সহকারী রাসেল সহ সহকারী প্রধান শিক্ষক মামুনার রশিদের বিরুদ্ধে পাঠদানে অমনোযোগী ও অদক্ষ বলে অভিযোগ করেন শিক্ষার্থীরা।
এছাড়া উক্ত বিদ্যালয়ের ১৪ টি অবকাঠামোগত সংস্কার দাবিতে স্মারকলিপি ও অভিযোগ পত্র প্রদান করেন মিঠাপুকুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার কাছে।
শিক্ষার্থীদের আন্দোলন নিয়ন্ত্রণের জন্য বিদ্যালয় উপস্থিত হন মিঠাপুকুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিকাশ চন্দ্র বর্মণ।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলেন এবং বিদ্যালয়ের কিছু অবকাঠামো সংস্কার করার জন্য আশ্বাস প্রদান করেন। এছাড়া বিভিন্ন অভিযোগের প্রেক্ষিতে প্রাক্তন শিক্ষার্থী,বর্তমান শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সাথে নিয়ে তদন্ত কমিটি গঠনের প্রস্তাব রাখেন। অভিযোগ তদন্তের ভিত্তিতে অনিয়মের সত্যতা পাওয়া গেলে আইনের মধ্য দিয়ে দোষীদের শাস্তির আওতায় নিয়ে আসা হবে বলে জানান মিঠাপুকুর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা বিকাশ চন্দ্র বর্মন।
সবশেষে শিক্ষার্থীরা সময় সাপেক্ষে, উপজেলা নির্বাহী অফিসারে মতামতে সমর্থন দিয়ে আন্দোলন স্থগিত করেন।