মমিনুল ইসলাম রিপন রংপুর।।
অবিলম্বে সিন্ডিকেট ভেঙ্গে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ, বিশেষ ট্রাইব্যুনালে জুলাই-আগস্ট হত্যাকাণ্ডের বিচার, আইন-শৃঙ্খলা ফিরিয়ে এনে জনমনে স্বস্তি, খেলাপী ঋণ, দুর্নীতি ও পাচারের টাকা উদ্ধার ও নির্বাচন ব্যবস্থার আমূল সংস্কারের দাবি জানিয়েছে বাম গণতান্ত্রিক জোট ও বাংলাদেশ জাসদ।
মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে রংপুর প্রেসক্লাব চত্বর থেকে
বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে নগরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে কাচারি বাজারে সমাবেশ করে।
সমাবশ থেকে সংখানুপাতিক নির্বাচনসহ বিভিন্ন দাবি তুলে ধরেন বাম গণতান্ত্রিক জোট নেতারা।
বাম গণতান্ত্রিক জোট ও বাংলাদেশ জাসদ জোটের জেলা সমন্বয়ক ও বাসদ আহবায়ক কমরেড আব্দুল কুদ্দুসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য দেন- বাসদ মার্ক্সবাদী রংপুর জেলা আহবায়ক কমরেড আনোয়ার হোসেন বাবলু, কমিউনিস্ট পার্টির রংপুর জেলা সাধারণ সম্পাদক কাফি সরকার, বাংলাদেশ জাসদ রংপুর মহানগর সভাপতি গৌতম রায়, বাসদ রংপুর জেলার সদস্য সচিব মমিনুল ইসলাম প্রমুখ।
নেতৃবৃন্দ বলেন, ছাত্র-জনতার রক্তস্নাত গণঅভ্যুত্থানের আকাঙ্খা বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠা। সেই
আকাঙ্খা থেকে ছাত্র জনতার আহবানে সাড়া দিয়ে ড. মুহাম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়েছে। ইতোমধ্যে একমাস অতিবাহিত হয়েছে। এখনো বিভিন্ন হাসপাতালে অসংখ্য ছাত্র-জনতা বুলেটের আঘাতে দগদগে ক্ষত নিয়ে বিছানায় কাতরাচ্ছে। অনেকেই পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি ছিল। তাদের চিকিৎসা, পরিবারের দায়িত্ব ও আহত নিহতদের ক্ষতিপূরণ দ্রুত দিতে হবে।
জোট নেতারা বলেন, শুধু আশ্বাস নয় বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠন করে জুলাই-আগস্ট হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। অনেক জায়গায় নিরব চাঁদাবাজি, দখল, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর হুমকি প্রদানের ঘটনা ঘটছে। রংপুর কালেকটরেট স্কুল এন্ড কলেজসহ অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে জোড়-জবরদস্তি করে শিক্ষকদের অপদস্থ করে পদত্যাগের ঘটনা ঘটেছে। যা নিন্দনীয় ও আইন বহির্ভূত। জনজীবনের সর্বত্র স্বস্তি ফিরিয়ে আনতে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি সাধন করতে হবে।
নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, পতিত হাসিনা সরকারের ঘুষ, দুর্নীতি, অর্থ পাচার, ব্যাংক তছরুপ, সিন্ডিকেট করে হাজার কোটি পাচারের সত্যতা বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে বেড়িয়ে এসেছে। অতিদ্রত পাচারের অর্থ ফিরিয়ে এনে দায়ীদের শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। এখনো বাজার ব্যবস্থাপনা সিন্ডিকেটের কবল থেকে মুক্ত হয়নি। সিন্ডিকেট ভেঙ্গে দ্রব্যমূল্য জনগণের ক্রয়সীমার মধ্যে আনতে হবে। শ্রমজীবীদের রেশন দিতে হবে। ঘন ঘন লোডশেডিং এ কবলে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। লোডশেডিং বন্ধে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।
বক্তারা বলেন, গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানসমূহ একে একে সব ধ্বংস করায় বিদ্যমান ব্যবস্থায় তেমন কোন অগ্রগতি সম্ভব নয়। সকল রাজনৈতিক দলসহ রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানের ব্যক্তিদের নিয়ে নির্বাচন ব্যবস্থার আমূল সংস্কার ও সংখানুপাতিক নির্বাচন ব্যবস্থা প্রবর্তন করা এখন সময়ের দাবিতে পরিণত হয়েছে।
কপিরাইট © ২০২৪ (দৈনিক পরিবেশ) সম্পাদক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।
Leave a Reply