1. admin@dailyporibesh.com : pori@admin :
  2. poribesh11@gmail.com : poribesh admin : poribesh admin
শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ০৮:০১ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম:
কেন্দ্র সচিবসহ ২১ জন শিক্ষককে অব্যাহতি মাথায় কাফনের কাপড়, মুখে লড়াই করে বাঁচার স্লোগান মিঠাপুকুরে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে ভেজাল গুড় তৈরি, জরিমানা ২ লাখ। রংপুরে বদরগঞ্জে আলোচিত লাভলু হত্যাকারির বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ  মিঠাপুকুরে আইনের তোয়াক্কা না করে ঘর বাড়ী ভাঙচুর নিখোঁজের দুইদিন পর সবজি ব্যবসায়ীর লাশ উদ্ধার শেরপুরে শ্রীরবর্দীতে সাড়ে তিন বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে বৃদ্ধ গ্রেপ্তার রংপুরে বদরগঞ্জে বিএনপি নেতা লাভলু হত্যাকারিদের ফাঁসি’র দাবিতে  মানববন্ধন  নাগেশ্বরীতে ইউনিয়ন প্যানেল চেয়ারম্যান গ্রেফতার রংপুরে এসএসসি পরীক্ষার প্রথম দিন  বহিস্কার ৫, অনুপস্থিত ৫৭৭ জন

আবু সাঈদ হত্যা মামলা রিমান্ড শেষ না হতেই দুই পুলিশ সদস্যকে কারাগারে প্রেরণ

  • প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
  • ১৫৫ বার শেয়ার হয়েছে

মমিনুল ইসলাম রিপন রংপুর।।

রংপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে নিহত বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ হত্যা মামলার আসামি দুই পুলিশ সদস্যকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) বিকেলে কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে আবু সাঈদ হত্যা মামলার আসামি রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের এএসআই মো. আমির হোসেন ও কনস্টেবল সুজন চন্দ্রকে আদালতে আনে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন-পিবিআই।

রংপুর মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-২ এর বিচারক মো. আসাদুজ্জামানের কাছে পিবিআই রিমান্ডের প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন। নতুন করে পিবিআই রিমান্ড আবেদন না করায় আদালত তাদের কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেয়।

রিমান্ডের মেয়াদপূর্তির আগেই আসামিদের আদালতে উপস্থাপন, পুলিশ কর্মকর্তারা আসামি হলেও স্বপদে বহাল থাকা, নতুন করে কোন আসামীকে গ্রেফতার না হওয়া, নতুন করে রিমান্ড না নেওয়ায় পিবিআইয়ের তদন্ত নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছে বাদী পক্ষের আইনজীবিরা। সেই সাথে সঠিক বিচার না পাওয়ারও শংঙ্কা প্রকাশ করেছেন তারা।

কোর্ট ইন্সপেক্টর পৃথিশ কুমার সরকার বলেন, রিমান্ড শেষে আবু সাঈদ হত্যা মামলার দু’ আসামিকে আজ আদালতে তোলা হয়েছিল। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার পক্ষে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করা হয়েছে। আদালত সেই প্রতিবেদন দেখে আসামীদের জেল হাজতে পাঠিয়েছে। নতুন করে পিবিআই রিমান্ড আবেদন করেনি।

বাদীপক্ষের আইনজীবি রায়হানুজ্জামান রায়হান বলেন, আদালতে আসামিদের উপস্থাপনের দিনে এএসআই আমির আলী ও কনস্টেবল সুজন চন্দ্র আদালতে স্বীকারোক্তি দিতে ধরেছিল। পিবিআই সেই সময় আদালতের কাছে তাদের পাঁচ দিন রিমান্ড আবেদন করলে আদালত ৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে। তদন্তকারী সংস্থা রিমান্ডের তৃতীয় দিনেই আসামিকে আদালতে উপস্থাপন করেছে এবং বলেছে আসামিরা অসুস্থ্য। আদালতে আসামিরা কোন স্বীকারোক্তি দেয়নি। আমাদের সন্দেহ হচ্ছে তদন্তকারী কর্মকর্তা তদন্তে অবহেলা ও খামখেয়ালী করেছে। সেই সাথে সঠিক বিচার নিয়ে সন্দেহ হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, এ মামলার আসামী সবাই পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা। মামলা ফাইলের দিনে বিজ্ঞ আদালত নির্দেশনা দিয়েছিল, মামলার সাথে সম্পর্কযুক্ত পুলিশের সকল কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নিতে হবে। কিন্তু এখনও স্বপদে বহাল থাকায় তারা মামলাকে প্রভাবিত করতে পারে। রোববারের মধ্যে তদন্তকারী সংস্থা পূণরায় রিমান্ড না চাইলে আমরা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার পরিবর্তন চাইবো।

বাদীপক্ষের আরেক আইনজীবি শামীম আল মামুন বলেন, আসামি দু’জন যাদের নির্দেশে গুলি চালিয়েছে, তাদের পেছনে পুলিশের কোন কোন কর্মকর্তা ছিল তাদেরকে দ্রুত আইনের আওতায় আনতে হবে। তদন্তকারী কর্মকর্তা আদালতকে বলেছে তারা রিমান্ডে আসামীদের দেওয়া তথ্য মিলিয়ে দেখছে। প্রয়োজন হলে পরবর্তীতে রিমান্ড চাইবে।

উল্লেখ্য, গত ১০ সেপ্টেম্বর পিবিআই দুই পুলিশ সদস্যের ৫ দিনের রিমান্ড আবেদন করলে আদালত ৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন

কপিরাইট © ২০২৪ (দৈনিক পরিবেশ)  সম্পাদক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।

কারিগরি সহযোগিতায়: জাগো হোষ্টার বিডি