জানাগেছে, কাশিপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোছাঃ পারভীন আখতার দুই মাস অসুস্থতা জনিত কারনে ছুটি শেষে বিদ্যালয়ের সভাপতি সদর উপজেলা নির্বার্হী কর্মকতার নির্দেশে বিদ্যালয়ে যোগদান করার জন্য যায়। বিদ্যালয় প্রবেশের সময় গত ২২/১০/২০২৪ তারিখ ¯কুল গেইটের সামনে সড়কে তার মটরসাইকেল রোধ করে কাশিপুর এলাকার বখাটে সন্ত্রাসী রানা,বাবু,সোহাগ,সোহেল,সুজনসহ আরো ২৫/ ৩০জন বখাটে। বখাটেরা প্রধান শিক্ষিকাকে মটরসাইকেল থেকে নামিয়ে তাদের অটো রিক্সায় জোরপূর্বক তুলে নিয়ে পাশের সিঙ্গাদার এলাকায় জুয়েল এর চাতালে নিয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকার পদ থেকে পদত্যাগের জন্য জোর করে। লাঠি শোঠা,দেশী অস্ত্র দেখিয়ে হুমকি দিয়ে প্রধান শিক্ষিকা কে পদত্যাগ করতে বলে। পদত্যাগ করতে না চাইলে তাকে জোর পূর্বক লাঞ্চিত করে তাদের টাইপ করা পদত্যাগ পত্রে ও সাদা ফাঁকা দুইটি স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নেয়। এ ঘটনায় লালমনিরহাট সদর থানায় অভিযোগ দায়ের করতে গেলে থানার ইনচার্জ আদালতে মামলা করতে পরামর্শ দেয়। কোন উপায় না পেয়ে প্রধান শিক্ষিকা মোছাঃ পারভীন আখতার বিদ্যালয়ের সভাপতি ও সদর উপজেলা নির্বার্হী কর্মকতা কে নিকট ওই বখাটেদের জোর পূর্বক স্বাক্ষর নেওয়া পদত্যাগ পত্রটি গ্রহন না করতে লিখিত আবেদন করেন। এ ছাড়াও জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার,জেলা শিক্ষা কর্মকতা ও সদর উপজেলা শিক্ষা কর্মকতার নিকট বিষয়টি আবগত করে আবেদন করেন। প্রধান শিক্ষিকা মোছা ঃ পারভীন আখতার জানান, ছুটি শেষে বিদ্যালয়ের সভাপতি নিকট যোগদানের অনুমতি পত্র নিয়ে বিদ্যালয়ে যোগদানে যাওয়ার সময় বিদ্যালয়ের বাহিরে গেইট সামনে সড়কে আমার পথ রোধ করে তুলে নিয়ে জোর পূর্বক আমার ইচ্ছের বিরুদ্ধে পদত্যাগ পত্রে ও সাদা দুইটি স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নেয়। ওই পদত্যাগ পত্রটি না গ্রহন করার জন্য আমি সভাপতি কে অবহতি করে আবেদন করি। ওদিকে এ ব্যাপারে লালমনিরহাট সদর উপজেলা নিবার্হী কর্মকতা ও কাশিপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি জান্নাত আরা ফেরদৌস জানান, বিষয়টি তিনি জানেন তবে চাইলে প্রধান শিক্ষিকা আইনের আশ্রয় নিতে পারে। আইনের আশ্রয় নিলে বিষয়টি খতিয়ে দেখা যাবে।