1. admin@dailyporibesh.com : pori@admin :
  2. poribesh11@gmail.com : poribesh admin : poribesh admin
রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ০৩:৫৬ অপরাহ্ন
শিরোনাম:
রংপুরে বদরগঞ্জে খামারিদের নিয়ে আমান ফিড লিমিটেড এর আলোচনা সভা  কেন্দ্র সচিবসহ ২১ জন শিক্ষককে অব্যাহতি মাথায় কাফনের কাপড়, মুখে লড়াই করে বাঁচার স্লোগান মিঠাপুকুরে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে ভেজাল গুড় তৈরি, জরিমানা ২ লাখ। রংপুরে বদরগঞ্জে আলোচিত লাভলু হত্যাকারির বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ  মিঠাপুকুরে আইনের তোয়াক্কা না করে ঘর বাড়ী ভাঙচুর নিখোঁজের দুইদিন পর সবজি ব্যবসায়ীর লাশ উদ্ধার শেরপুরে শ্রীরবর্দীতে সাড়ে তিন বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে বৃদ্ধ গ্রেপ্তার রংপুরে বদরগঞ্জে বিএনপি নেতা লাভলু হত্যাকারিদের ফাঁসি’র দাবিতে  মানববন্ধন  নাগেশ্বরীতে ইউনিয়ন প্যানেল চেয়ারম্যান গ্রেফতার

আবু সাঈদ হত্যা মামলায় বেরোবির সাবেক প্রক্টর তিন দিনের রিমান্ডে

  • প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর, ২০২৪
  • ১৫৪ বার শেয়ার হয়েছে

 

 

মমিনুল ইসলাম রিপন রংপুর।

কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালে নিহত আবু সাঈদ হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার শরিফুল ইসলামের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। আসামি শরিফুল ইসলাম বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক প্রক্টর ও রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ছিলেন।

মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) বিকেলে কড়া নিরাপত্তার মধ্যে দিয়ে রংপুর চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-২ এ ওই শিক্ষককে নেওয়া হয়। সেখানে পিবিআই পুশিলের পক্ষ থেকে পাঁচ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করা হলে বিচারক আসাদুজ্জামান শুনানি শেষে তিন দিন মঞ্জুর করেন।

এ তথ্য নিশ্চিত করেন পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) পুলিশ সুপার জাকির হোসেন।

এর আগে সোমবার (১৮ নভেম্বর) রাতে পিবিআই পুলিশ শরিফুল ইসলামকে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য ডেকে নিয়ে যান এবং জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। তার বিরুদ্ধে ঘটনাস্থলে উপস্থিত থেকে পুলিশকে গুলি করতে নির্দেশনা দেওয়ার অভিযোগ আছে। এর আগে এই মামলায় মহানগর পুলিশের এএসআই আমীর আলী ও কনস্টেবল সুজন চন্দ্র রায়কে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।

গত ১৬ জুলাই দুপুরে কোটা সংস্কার আন্দোলনে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের এক নম্বর গেটের সামনে পুলিশের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে পুলিশের গুলিতে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ছাত্র আবু সাঈদ নিহত হন।

মামলার এজাহারে বাদী উল্লেখ করেন, রংপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক ছিলেন আবু সাঈদ। গত ১৬ জুলাই শহীদ আবু সাঈদ নিরস্ত্র, একা থাকা ও পুলিশের জন্য কোনো হুমকি না হওয়া সত্ত্বেও শটগান দিয়ে নির্মম ও নৃশংসভাবে গুলি করে পুলিশ। আবু সাঈদ পড়ে গিয়ে একাধিকবার দাঁড়ানোর চেষ্টা করলেও আসামিরা পরিকল্পিতভাবে নৃশংসভাবে গুলি করেন।

এতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, ঘটনার দিন দুপুর দুইটার দিকে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতর থেকে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি পোমেল বড়ুয়ার নেতৃত্বে শিক্ষার্থীদের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ শুরু করলে আবু সাঈদ পিছু না হটে দুই হাত প্রসারিত করে বুক পেতে দিয়ে এগিয়ে যান।

মামলার অন্য আসামিরা হলেন- পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল–মামুন, রংপুর রেঞ্জের সাবেক উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) আবদুল বাতেন, রংপুর মহানগর পুলিশের তৎকালীন কমিশনার মো. মনিরুজ্জামান, রংপুর মহানগর পুলিশের তৎকালীন উপকমিশনার আল মারুফ হোসেন, সহকারী কমিশনার মো. আরিফুজ্জামান, আল ইমরান হোসেন, তাজহাট থানার তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রবিউল ইসলাম, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ বিভূতিভূষণ রায়, এএসআই আমির হোসেন ও কনস্টেবল সুজন চন্দ্র রায়। এর মধ্যে আমির হোসেন ও সুজন চন্দ্র রায় সাময়িক বরখাস্ত ছিলেন। রংপুর রেঞ্জের সাবেক ডিআইজি আবদুল বাতেন ও রংপুরের সাবেক পুলিশ কমিশনার মো. মনিরুজ্জামানকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়েছে।

এছাড়া মামলায় বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষক গণিত বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মশিউর রহমান ও লোকপ্রশাসন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আসাদুজ্জামান মণ্ডল, প্রক্টর কার্যালয়ের কর্মকর্তা রাফিউল হাসান, বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি পোমেল বড়ুয়া, সাধারণ সম্পাদক শামীম মাহফুজ, সাংগঠনিক সম্পাদক ধনঞ্জয় কুমার রায়, দপ্তর সম্পাদক বাবুল হোসেনকে আসামি করা হয়েছে। অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে আরও অন্তত ৩০ থেকে ৩৫ জনকে।

প্রসঙ্গত, সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন যখন সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ছিল, সেই সময় ১৬ জুলাই দুপুরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে পার্ক মোড়ে গুলিবিদ্ধ হন আবু সাঈদ। ২৫ বছর বয়সী আবু সাঈদ বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ১২তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ছিলেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে নিরস্ত্র আবু সাঈদের গুলিবিদ্ধ হওয়ার ভিডিও ছড়িয়ে পড়লে সারা দেশে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। এই হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে সোচ্চার হাজারো মানুষ। গতিশীল হয় কোটা সংস্কার আন্দোলন। ওই আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় ছাত্র-জনতার বিক্ষোভের মুখে ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা। এর মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগের প্রায় ১৬ বছরের শাসনের অবসান ঘটে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন

কপিরাইট © ২০২৪ (দৈনিক পরিবেশ)  সম্পাদক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।

কারিগরি সহযোগিতায়: জাগো হোষ্টার বিডি