1. admin@dailyporibesh.com : pori@admin :
  2. poribesh11@gmail.com : poribesh admin : poribesh admin
রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ০৫:১৯ অপরাহ্ন
শিরোনাম:
রংপুরে বদরগঞ্জে খামারিদের নিয়ে আমান ফিড লিমিটেড এর আলোচনা সভা  কেন্দ্র সচিবসহ ২১ জন শিক্ষককে অব্যাহতি মাথায় কাফনের কাপড়, মুখে লড়াই করে বাঁচার স্লোগান মিঠাপুকুরে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে ভেজাল গুড় তৈরি, জরিমানা ২ লাখ। রংপুরে বদরগঞ্জে আলোচিত লাভলু হত্যাকারির বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ  মিঠাপুকুরে আইনের তোয়াক্কা না করে ঘর বাড়ী ভাঙচুর নিখোঁজের দুইদিন পর সবজি ব্যবসায়ীর লাশ উদ্ধার শেরপুরে শ্রীরবর্দীতে সাড়ে তিন বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে বৃদ্ধ গ্রেপ্তার রংপুরে বদরগঞ্জে বিএনপি নেতা লাভলু হত্যাকারিদের ফাঁসি’র দাবিতে  মানববন্ধন  নাগেশ্বরীতে ইউনিয়ন প্যানেল চেয়ারম্যান গ্রেফতার

মিঠাপুকুরে “চা” খাওয়ার জন্য ঘুষ নেন ইউএনও অফিস সহকারী রায়হান

  • প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১৭ ডিসেম্বর, ২০২৪
  • ১৯১ বার শেয়ার হয়েছে

 

শাকিল আহমেদ

আমার অতো চাওয়া পাওয়া নাই। মিঠাপুকুরে এমনো লোক আছে দিনে ১০ থেকে ২০ হাজার টাকা ইনকাম করে। আমিতো তার কাছে চেয়ে টাকা নেইনি। ঘর বরাদ্দ পাওয়ার পর অই মহিলা খুশি হয়ে দুই দফায় বিশ হাজার টাকা চা খাওয়ার জন্য দিছলো। আমি কাজ করে দেই জন্যই অনেকে খুশি হয়ে এক দুই হাজার টাকা চা খাওয়ার জন্য এমনি দেয়। এভাবেই আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘর বরাদ্দ দেয়ার নামে ঘুষ গ্রহণের কথা অকপটে প্রতিবেদককে বলছিলেন রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার কার্যালয়ের অফিস সহকারী (কাম-কম্পিউটার অপারেটর) মোঃ রায়হান মিয়া।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার বাতাসন লতিবপুর গ্রামের মৃত রজব উদ্দিনের স্ত্রী কহিনুর বেগম ও তার ছেলের স্ত্রী বানেছা বেগম গৃহহীনদের জন্য আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘর বরাদ্দ চেয়ে গত ১০ আগস্ট ২০২৩ সালে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর দুইটি আবেদন করেন।দীর্ঘদিন পর হঠাৎ মিঠাপুকুর ইউএনও অফিস সহকারী রায়হান আবেদন কপি থেকে ভুক্তভোগী বিধবা মহিলা কহিনুরের নাম্বার নিয়ে আবেদন খরছের কথা বলে দুই দফায় ৫০০০ টাকা ঘুষ গ্রহণ করেন। এরপর কহিনুর ও বানেছা বেগম ঘর বরাদ্দ পেয়েছে এই কথা জানিয়ে দুইটি ঘরের কথা বলে দুই দফায় আরো ২০,০০০ টাকা ঘুষ গ্রহণ করেন।

এদিকে দীর্ঘদিন পর উপজেলার রাণীপুকুর ইউনিয়নের ভক্তিপুর আশ্রয়ন প্রকল্পে ঘর বরাদ্দ পায় বিধবা কহিনুর বেওয়া(৭০)। কিন্তু ঘরে উঠার আগেই আশ্রয়নের প্রকল্পের আশেপাশের স্থানীয় ব্যক্তিরা ঘর দখল করে নেয়ায় ঘরে উঠা হয়নি এই বিধবার। একদিকে সুূদ কারবারির কাছে নেয়া টাকার সুদের চাপ অন্যদিকে বরাদ্দ পাওয়া ঘরে উঠতে না পাওয়ায় টাকা ফেরত পেতে চাপ দেয়ার পর স্থানীয় এক নেতার মধ্যস্থতায় ১৩,০০০ টাকা ফেরত পেলেও বাকি ১২,০০০ টাকা ফেরত পেতে দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন বিধবা এই বৃদ্ধা নারী।

মিঠাপুকুরের রাণীপুকুর ইউনিয়ন ভূমি অফিসের তসিলদার মেহফুজ আল রেজা জানান, এসিল্যান্ড স্যারের নির্দেশে রাণীপুকুর ইউনিয়নের ভক্তিপুর আশ্রয়ন প্রকল্পে বৃদ্ধা কহিনুরকে ঘরে উঠিয়ে দেয়ার জন্য গিয়েছিলাম।কিন্তু আমি যাওয়ার পর সেখানে বসবাসকারীরা ঘর তালাবদ্ধ করে চলে যাওয়ায় অবৈধ বসবাসকারী চিহ্নিত করে ঘর বরাদ্দ দেয়া সম্ভব হয়নি।

এবিষয়ে অভিযুক্ত রায়হান মিয়া জানান, ২৫,০০০ টাকা নেইনি। ঘর বরাদ্দ পাওয়ার পর অই মহিলা খুশি হয়ে ২০,০০০ টাকা দিয়েছিলো চা খাওয়ার জন্য। চেয়ারম্যান মেম্বারেরা তো একটা করি ঘরের জন্য ৩০/৪০ হাজার করি টাকা নিছে। অই মহিলা ঘরে উঠতে না পারায় স্থানীয় এক নেতার মধ্যস্ততায় ১৩,০০০ টাকা ফেরত দিয়েছি। তার সঙ্গে আমার আর কোন ঝামেলা নাই।

মিঠাপুকুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিকাশ চন্দ্র বর্মণ জানান, আশ্রয়ন প্রকল্পের আওতায় মিঠাপুকুর উপজেলায় বার শতাধিক ভূমিহীনকে ঘর বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। আরো ৩৪০ জন ভূমিহীনকে ঘর বরাদ্দ দেয়ার কাজ চলমান রয়েছে। আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘর বরাদ্দ দেয়ার নামে ঘুষ গ্রহণের কোন সুযোগ নেই। এবিষয়ে অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন

কপিরাইট © ২০২৪ (দৈনিক পরিবেশ)  সম্পাদক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।

কারিগরি সহযোগিতায়: জাগো হোষ্টার বিডি