বদরগঞ্জ (রংপুর) প্রতিনিধি
বদরগঞ্জ উপজেলার দশটি ইউনিয়নের মধ্যে প্রত্যেক ওয়ার্ডে কয়েক বছর আগে দেখা যেত, গরু দিয়ে হাল চাষ করে ফসল ফলানো, সময়ের পরিবর্তনে ও আধুনিক প্রযুক্তির যন্ত্রপাতি ব্যবহার হওয়ায়, এখন আর চোখে পড়ে না, গরু দিয়ে হাল চাষ করা।
সরেজমিন ঘুরে অনেক কৃষকের সাথে কথা বলে জানা যায় যে, তাহারা বলেন গরুর হাল দিয়ে জমি চাষ করতে অনেক সময় লাগে, এমনকি সারাদিনে একজন চাষী জমি চাষ করে, ৩৫ শতক থেকে ৪০ শতক। আর আধুনিক প্রযুক্তির ট্রাক্টর গাড়ি ব্যবহারে একদিনে চাষ করে, ৬০০ থেকে ৭০০ শতক জমি।
বিষ্ণুপুর ইউনিয়নে সাত নম্বর ওয়ার্ডে বর্তমানে গরুর হাল দিয়ে জমি চাষ করে সাতজন ও ঘোড়ার হাল দিয়ে জমি চাষ করে একজন। এই চাষীদের সাথে দুই দিন আগে কথা বলে রাখতে হয়, তাহলে পাওয়া সম্ভব হয় গরু ও ঘোড়ার হাল। কৃষকদের মাঝে চাহিদা আছে, তবে তাহারা গরু ও ঘোড়ার হাল দিয়ে জমি চাষের চেয়ে, হালের সাথে মই ব্যবহার করে জমি সমানের কাজ বেশি করে। তাই আবার ফিরে আসুক আমাদের পুরনো ঐতিহ্য গরু ও ঘোড়ার হাল দিয়ে জমি চাষ।
বিষ্ণুপুর ইউনিয়নে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মাহমুদুল হাসান বলেন- কৃষি যান্ত্রিকী ব্যবহার হওয়ায়, কাঠের লাঙ্গল দিয়ে জমি চাষ করা নেই বললেই চলে,তবে লাঙ্গল দিয়ে জমি চাষ করিলে উর্বরতা কম হয়, আর ট্রাক্টর দিয়ে জমি চাষ করিলে জমি উর্বর থাকে এবং চাষ গভীর হয়।
উপজেলা উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা- ফজলুল করিম বলেন -চাষাবাদে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের কারণে ও সময় বাচানোর জন্য পুরনো পদ্ধতিতে গরু দিয়ে ও কাঠের লাঙ্গলে অনেক সময় লাগে, তাই এখন কৃষিতে আধুনিক যন্ত্রপাতির ব্যবহার হওয়ায় বিলুপ্তের পথে গরু দিয়ে হাল চাষ।