গঙ্গাচড়া (রংপুর) প্রতিনিধি:
গত মঙ্গলবার দিবাগত রাতে গঙ্গাচড়া ইউনিয়নের মনাকষা এলাকায় সেনাবাহিনী অভিযান পরিচালনা করে ওই এলাকার জমির উদ্দিনের ছেলে নুরুজ্জামানকে ৫০০ পিচ ইয়াবাসহ আটক করে। পরে সেনাবাহিনী ওসিকে খবর দিলে ওসি সেখানে পুলিশ সদস্য পাঠায়। এদিকে ওই এলাকার চিহ্নিত মাদক কারবারিদের ধরার জন্য এলাকাবাসী সম্প্রতি মানববন্ধন করে। এর প্রেক্ষিতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার থানা পুলিশকে নিয়ে সেখানে মাদক প্রতিরোধে মতবিনিময় সভা করেন। এরপর থানা পুলিশ কয়েক দফায় অভিযান পরিচালনা করে ব্যর্থ হয়। সেনাবাহিনী এক রাতের অভিযানে সফল হওয়ায় থানা পুলিশের ভূমিকা নিয়ে জনমনে সংশয় দেখা দিয়েছে। জনমনে নানা প্রশ্ন জাগছে যে থানা থেকে দুই কিলোমিটারের মধ্যে এত বড় মাদক কারবারিকে এতদিন পুলিশ কেন আটক করেনি।নাকি অন্য কিছু। উপজেলার চিহ্নিত মাদক এলাকা হিসেবে পরিচিত মর্নেয়ার তালপট্টি, ভাঙ্গাগড়া, চড় আলাল, জমচওড়া, গজঘণ্টা ইউনিয়নের জয়দেব, উমর বালাটারী, কৈপাড়া, লক্ষ্মীটারী ইউনিয়নের মহিপুরের চরাঞ্চল, গঙ্গাচড়ার মনাকষা, দোলাপাড়াসহ উপজেলার অসংখ্য চিহ্নিত এলাকা রয়েছে। তবে মাদক নিয়ন্ত্রনে থানা পুলিশের সন্তোষজনক ভূমিকা না রাখায় জনমনে দ্বিধার সৃষ্টি হয়েছে। অভিযানে সেনাবাহিনীর সাথ গঙ্গাচড়া বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের রাদিত ও ঐ এলাকার শাকিল উপস্থিত ছিলেন। রাদিত বলেন, আমি কিছুটা আশ্চর্য হয়েছি মনাকষা গ্রামটি থানা থেকে দুই কিলোমিটারের মধ্যেই পরে। এত নিকটবর্তী হওয়া সত্ত্বেও থানা পুলিশ দীর্ঘদিন চেষ্টা করে ব্যর্থ হওয়ার পিছনে কোন রহস্য লুকিয়ে আছে কিনা? অথচ সেনাবাহিনী ঠিকই গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নুরুজ্জামানকে ৫০০ পিস ইয়াবাসহ আটক করলো। আবার হতবাক হয়েছি সেনাবাহিনী যখন অভিযান শেষে ওসিকে আসার জন্য ফোন দিলো তিনি কোন রাস্তা দিয়ে যেতে হবে বলেন- এমন প্রশ্ন আমাকে হতবাক করেছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে গঙ্গাচড়া মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ আল এমরান বলেন, আমরা মাদক বিরোধী নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করছি। মাদকসহ অনেককেই গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। নুরুজ্জামানের বাড়িতে অভিযান করেছি আমাদের সে অভিযান সফল না হলেও সেনাবাহিনী সফল হয়েছে।
কপিরাইট © ২০২৪ (দৈনিক পরিবেশ) সম্পাদক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।
Leave a Reply