মিঠাপুকুর (রংপুর)প্রতিনিধি
সোমবার (১০ফেব্রুয়ারি) সকাল ৯টার দিকে উপজেলার লতিবপুর ইউনিয়নের বাতাসন দূর্গাপুর বনানীপাড়া গ্রামে গভীর নলকূপ ঘরে লাগানো তালা ভেঙে ওই এলাকার সকল কৃষকদের জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে।
জানা গেছে,বিগত আওমীলীগ সরকারের আমলে মালেক এবং মতিয়ার রহমান ইউনিয়ন আওমীলীগের নাম ভাঙ্গিয়ে বিএডিসির কাছ থেকে নলকূপটি ভুয়া কাগজের মাধ্যমে নিজ নামীয়ভাবে ভোগ দখল করে আসছিলেন। ৫ আগস্ট আওমীলীগ সরকার পতনের পর হঠাৎ গভীর নলকূপ ঘরে তালা লাগিয়ে দেন তারা। এতে জমিতে সেচ দেওয়া নিয়ে চরম ভোগান্তিতে পড়ে ওই এলাকার প্রায় ৮০০জন কৃষক।কৃষকদের কপালে চাষাবাদ নিয়ে পড়ে যায় ভাজ।ওই এলাকার কৃষকরা দফায় দফায় গভীর নলকূপ ঘরটির তালা খুলে দেওয়ার কথা বললে তারা অস্বীকৃতি জানায়। এমতাবস্থায় এলাকাবাসীরা ক্ষিপ্ত হয়ে গভীর নলকূপ ঘরের তালাটি ভেঙ্গে ফেলেন এবং এলাকার সকল কৃষকদের জন্য উন্মুক্ত করেন।
কৃষকরা জানান, এলাকার কোনো কৃষককে না জানিয়ে মালেক মিয়া, মতিয়ার রহমান এবং আতোয়ার ইসলাম সরকার পতনের পরে নতুন একটা তালা গভীর নলকূপের ঘরের দরজায় লাগিয়েছিলেন। তালা দেওয়ার পর থেকে অনেকে তাদের তালাটি খুলে দেওয়ার জন্য অনুরোধ করলেও তারা শোনেননি। এ অবস্থায় ধানের বীজ বপন, গম ও,আলু এবং পেঁয়াজের সময়মতো সেচ কাজ করতে পারছিলেন না তারা। এতে ক্ষতির মুখে পড়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছিল। এজন্য আজ সকালে এলাকাবাসী গভীর নলকূপ ঘরের তালাটি ভেঙে এই গ্রামের কৃষকদের জন্য উন্মুক্ত করেছে।
কয়েকজন এলাকাবাসী জানান, দীর্ঘ দিন ধরে এই গভীর নলকূপটি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। আওমীলীগের কিছু নামধারী নেতা পরিচয় বহনকারীরা নলকূপটির ঘরের দরজায় তালা লাগিয়ে দেয়। এতে জমিতে সেচ দিতে হিমশিম খাচ্ছিল কৃষকরা।তাই আমরা এলাকাবাসীরা আজ সকলে মিলে তালাটি ভেঙে দেওয়া দেই এবং কৃষকদের জন্য উন্মুক্ত ঘোষণা করি।
এ বিষয়ে মিঠাপুকুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিকাশ চন্দ্র বর্মণ জানান,বিষয়টি জানতে পেরেছি। চাইলেই কেউ গভীর নলকূপ ঘরে তালা লাগিয়ে কৃষকদের ভোগান্তি সৃষ্টি করতে পারে না।