মনির শাহ, বদরগঞ্জ (রংপুর) প্রতিনিধি
ঘটনাটি ঘটেছে রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলার লোহানীপাড়া ইউনিয়নের কামারপাড়া আমলির ডাঙ্গা গ্রামে।
স্থানীয় লোকজন ও পরিবার সূত্রে জানা যায় গত ২০ ফেব্রুয়ারি (বৃহস্পতিবার) দুপুরে প্রচণ্ড প্রসব বেদনায় কাতরাচ্ছিলেন বন্যা রানী (২৪)। দুপুর দেড়টার দিকে স্বাভাবিকভাবে বন্যা রানী একটি কন্যা সন্তান জন্ম দেয়। বাচ্চাটি জন্ম হওয়ার কিছুক্ষণ পরেই নিয়ে যায় বন্যা রানীর (মামী) সাধনা রানী। জানতেন না মা বন্যা রানী।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, ৩ বছর আগে দিনাজপুর জেলার নবাবগঞ্জ উপজেলার আফতাবগঞ্জ এলাকার সুমন মালির সঙ্গে বন্যা রানী বিয়ে হয়। দু বছর সংসার চলাকালীন একটি মেয়ে সন্তানও হয়। হঠাৎ করে বন্যা রানী অসুস্থ হলে বাবার বাড়ি লোহানীপাড়া কামারপাড়া গ্রামে আসেন। বাবার বাড়িতে একমাস থাকার পরে বন্যা রানী বুঝতে পারেন তিনি গর্ভবতী। মুঠোফোনে স্বামী সুমনকে জানালে সুমন গর্ভের সন্তানকে অস্বীকার করেন। ৮ মাস ধরে বাবার বাড়িতে থাকার পরে গত বৃহস্পতিবার একটি মেয়ে বাচ্চা জন্ম দেয় বন্যা রানী। বাচ্চা জন্ম হওয়ার সময়ে অচেতন বন্যা রানী থাকায়। এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে তার পিসি (মামী)সাধনা রানী ভূমিষ্ঠ বাচ্চাটিকে ১০ হাজার টাকা দরদাম করে ৩ হাজার টাকা নগদ নিয়ে দত্তক দিয়েছেন, দিনাজপুর জেলার পার্বতীপুর উপজেলার ১০নং হরিরামপুর ইউনিয়নের গুড়গুড়ি মধ্যাপাড়া গ্রামের হাবলু ওরফে (লাবলু) মিয়ার কাছে। পৃথিবীতে সন্তান ভূমিষ্ট হওয়ার পরে বন্যা রানী দেখতে পায় তার বাচ্চা নেই। সেই মুহূর্তে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন বন্যা রানী। পরে জানতে পারেন তার বাচ্চাটিকে লোহানীপাড়া সাজানো গ্রামের সাধনা রানী নিয়ে গিয়েছে।
লোহানীপাড়া উক্ত ওয়ার্ডের ইউ'পি সদস্য জাহিদুল ইসলাম বলেন-সন্তান টিকে গত কাল কে ফেরত পেয়েছেন মা।
বদরগঞ্জ উপজেলা সহকারী ভুমি কমিশনার -মালিহা খানম বলেন - নবজাতক শিশুটিকে ইউ'পি সদস্য'র সহযোগিতায় ফিরিয়ে নিয়ে আসা হয়েছে বলে জানান।