নতুন দলের আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম, সদস্যসচিব আখতার হোসেন। এ ছাড়া দলটির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক হলেন সামান্তা শারমিন ও আরিফুল ইসলাম আদীব। ১নং যুগ্ম আহ্বায়কের পদ দেওয়া হয়েছে নুসরাত তাবাসসুমকে ও সদস্য সচিবের পদ দেওয়া হয়েছে আখতার হোসেনকে। সিনিয়র যুগ্ম সদস্যসচিবের পদ পেয়েছেন তাসনিম জারা ও নাহিদা সারওয়ার নিবা এবং ১নং যুগ্ম সদস্য সচিব আরিফ সোহেল।
পাশাপাশি হাসনাত আবদুল্লাহকে দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক ও সারজিস আলমকে উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক, নাসীরুদ্দীন পাটোয়ারীকে মুখ্য সমন্বয়ক এবং আব্দুল হান্নান মাসউদকে যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন।
নতুন দলের মুখ্য দায়িত্ব নিতে যাওয়া হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, গণভবন ও সংসদ ভবনে কে যাবে, তা নির্ধারণ করবে দেশের খেটে খাওয়া জনগণ।
তিনি বলেন, গণভবনে কে যাবে সেটি নির্ধারিত হবে বাংলাদেশ থেকে, ভারত থেকে সেটি নির্ধারিত হবে না। আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই, এই সংসদে কে যাবে, সেটি নির্ধারণ করবে বাংলাদেশের খেটে খাওয়া জনতা। এই সংসদে কে বসবে, সেটি নির্ধারণ করবে এই ভূখণ্ডের মানুষ।
নতুন রাজনৈতিক দলের মুখ্য সমন্বয়কের দায়িত্ব নিতে যাওয়া নাসির উদ্দিন পাটোয়ারী বলেন, জুলাই অভ্যুত্থান থেকে শুরু করে নতুন রাজনৈতিক দল গঠন পর্যন্ত যারা সহযোগিতা করেছেন তাদের সবার ত্যাগের মূল্যায়ন করা হবে বলে জানিয়েছেন ।
তিনি আরও বলেন, জাতীয় নাগরিক কমিটি চারশটি থানায় পৌঁছে কমিটি দিয়েছে। অবশেষে সবার সহযোগিতায় আজ ঐতিহাসিকভাবে একটি রাজনৈতিক দল গঠন করার দ্বারপ্রান্তে উপনিত হয়েছি। এই চলার পথে জুলাই অভ্যুত্থানের আত্মত্যাগকারী শিক্ষার্থী, সাধারণ মানুষ ও বিভিন্ন দলের রাজনৈতিক নেতারাসহ যারা আমাদের বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করেছেন তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি ও তাদের আত্মত্যাগকে স্বীকার করছি। আগামীতে আমরা সবার ত্যাগের মূল্যায়ন করব।
দলের কর্ণধারদের উদ্দেশ্যে নাসির বলেন, ছাত্রদের নেতৃত্বে যে দলটি আসতে যাচ্ছে, তাদের এই পথচলায় যারা পাশে এসে দাঁড়িয়েছে সবার ত্যাগের মূল্যায়ন করবেন আপনারা।