এমন তথ্য জানিয়েছেন রংপুরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রবিউল ফয়সাল ।এদিকে বিভিন্ন সময় অভিযানের নামে ইটভাটায় প্রশাসন, পরিবেশ অধিদপ্তর হানা দিয়ে জেল-জরিমানা আদায় বন্ধ করা না হয়, তবে ঈদের পর বৃহত্তর আন্দোলনের কথা বলেছে ইট প্রস্তুতকারক মালিক-শ্রমিকরা।
রংপুর জেলা ইটপ্রস্তুতকারী মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক এম আজিজুলক হক বলেন, রংপুর বিভাগে বিভিন্ন অবকাঠামোগত উন্নয়ন কার্যক্রম চলছে। এসব কাজে রংপুরের ভাটা থেকে বিপুল সংখ্যক ইট স্বল্পমূল্যে সেখানে সরবরাহ করা হচ্ছে। এতে করে সরকারের উন্নয়ন ব্যয় কমছে। ইটশিল্পের সঙ্গে রংপুরের লাখ লাখ শ্রমিক জড়িত রয়েছে।
পরিবেশগত লাইসেন্স না থাকা এবং প্রয়োজনীয় শর্ত না মেনে এমন অবৈধ ইটভাটা ১৭২টি।এতে পরিবেশ দূষণের পাশাপাশি মাটির উপরের অংশ তুলে নেয়ায় জমির উর্বরতা নষ্ট হয়ে কৃষিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। দিয়েছে। এ কারণে অবৈধ ভাটায় ইট উৎপাদন বন্ধে অভিযান শুরু হয়েছে।
অভিযানের অংশ হিসেবে ৪ ও ৫ মার্চ মঙ্গল ও বুধবার রংপুর সদর উপজেলা, পীরগঞ্জ, কাউনিয়া, তারাগঞ্জ, বদরগঞ্জ, মিঠাপুকুর, পীরগাছার বেশ কয়েকটি ইটভাটার চিমনির আগুন নিভিয়ে এবং ভেঙে দিয়ে কার্যক্রম বন্ধ করা হয়েছে। এসব অভিযানে জেলা-উপজেলা প্রশাসন, পরিবেশ অধিদপ্তর, বিএসটিআই’র কর্মকর্তা এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে বুধবার ইটভাটায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে জরিমানা, ভাঙচুর ও বন্ধ করার প্রতিবাদে রংপুরে বিক্ষোভ মিছিল ও জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ঘেরাও কর্মসূচি পালন করেছে ইট প্রস্তুতকারী মালিক সমিতি। পরে সাত দফা দাবিতে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টাসহ পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি দেন তারা।
এদিকে সারা দেশের সব অবৈধ ইটভাটা চার সপ্তাহের মধ্যে গুঁড়িয়ে দিতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। সব বিভাগীয় কমিশনার ও ডিসিকে এই নির্দেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতের আদেশ বাস্তবায়ন করে আগামী ১৭ মার্চ প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।
কপিরাইট © ২০২৪ (দৈনিক পরিবেশ) সম্পাদক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।
Leave a Reply