নাগেশ্বরী(কুড়িগ্রাম)প্রতিনিধিঃ
বীজ রোপনের প্রায় ১শত৪০ থেকে ১শত৫০ দিনে ফসল ঘরে আসে। রবি মৌসুমে ধান চাষের পর পরবর্তী বোরো ধান চাষের সময়টাতে ভুট্টার চাষ বেশি হয়। অন্যান্য ফসলের চেয়ে ভুট্টার চাষ লাভজনক।
এর সবুজ পাতা গো-খাদ্য হিসেবে খুবই গুরুত্বপ‚র্ণ। ভুট্টা দিয়ে গরু,ছাগল,হাস মুরগী সহ মাছের জন্য উন্নত খাদ্য তৈরি হয়। এর গাছের কান্ড জালানি হিসেবে ব্যবহার হয়। কৃষক এক বিঘা জমিতে ২৫থেকে ৩০ মন ভুট্টার ফলায়। প্রতিমন ভুট্টার ম‚ল্য ১২ থেকে ১৫ শত টাকা। ভুট্টা চাষের ফলে জমিতে আগাছা কম হয়। নারায়ণপুর ইউনিয়নের কৃষক আব্দুল আজিজ জানায় ধানের চেয়ে ভূট্টার চাহিদা থাকায় এক একর জমিতে ভুট্টা চাষ করেছি। আগামীতে আরো বেশি করার চিন্তা আছে। নেওয়াশী ইউনিয়নের আব্দুর রব বলেন, ধান চাষের চেয়ে ভুট্টাbচাষে লাভ বেশি। হাসনাবাদ ইউনিয়নের রুহুল আমিন বলেন, গত বারের চেয়ে এবার বেশি চাষ করেছি। উপজেলা কৃষি অফিসার শাহরিয়ার হোসেন জানায় গত বছর মোট ভুট্টা চাষ হয়েচিলো ১২শত ৫০হেক্টর জমিতে। এ বছর ১৬শত ৮০ হেক্টর জমিতে ভুট্টা চাষ হয়েছে। মোট ৩শত কৃষককে সরকারি প্রণোদনা দেয়া হয়েছে।তিনি আরও বলেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে এবার উপজেলায় ভুট্টার বাম্পার ফলন হবে। ভুট্টার দাম এবং বাজারে বেশি চাহিদার কারণে ভুট্টা চাষে আগ্রহী কৃষক।