মনির শাহ, বদরগঞ্জ (রংপুর) প্রতিনিধি:
স্থানীয়রা জানান, উপজেলার লোহানীপাড়া ইউনিয়নের কাঁচাবাড়ী বাজারে আওয়ামী লীগের ইফতার মাহফিল ও ঈদ সামগ্রী দেয়ার সময় বিএনপির লোকজনের সাথে কথা কাটাকাটি হয়। এসময় স্থানীয় আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি ডিউক চৌধুরী ও পৌর মেয়র টুটুল চৌধুরীর ক্যাডার এবং ইউপি চেয়ারম্যান ডলু শাহ গ্রাম পুলিশ দাফাদার জমসেদসহ আওয়ামী লীগের লোকজন বিএনপির কার্যালয়ে থাকা দলীয় নেতা-নেত্রীদের ছবি, ব্যানার, চেয়ার, টেবিলসহ আসবাবপত্র ভাঙচুর এবং লুটপাট করে। তবে এর আগে তারা বিএনপিকে হটিয়ে বাজারের পাশে কাচাবাড়ি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ওয়াদুদ আলীর নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের দোসররা প্রকাশ্যে ইফতার মাহফিল অংশ নেয় বলে বাজারের লোকজন জানান। এ ঘটনায় এলাকায় সাধারণ মানুষের মধ্যে ব্যাপক আতঙ্ক বিরাজ করছে। তবে এলাকার লোকজন ভাংচুরের ঘটনায় স্থানীয় দাফাদার জমসেদ আলীকে আটক করে পুলিশকে সোপর্দ করেছেন।
এ বিষয়ে লোহানীপাড়া ইউনিয়ন বিএনপির আহবায়ক নিপুল জানান, লোহানীপাড়া ইউনিয়ন বিএনপির কার্যক্রম আরও গতিশীল করতে কাঁচাবাড়ি বাজারে একটি দলীয় কার্যালয় করা হয়েছিল। কিন্তু গত শনিবার রাতে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা কার্যালয়টি ভেঙে দিয়েছে। এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। দলের সিনিয়র নেতৃবৃন্দের সাথে আলোচনা করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার প্রস্তুতি চলছে।
বদরগঞ্জ উপজেলা বিএনপির আহবায় সাবেক এমপি অধ্যাপক পরিতোষ চক্রবর্তী জানান, দীর্ঘদিন লোহানীপাড়া ইউনিয়নে বিএনপির দলীয় কোনো কার্যালয় ছিল না। গণঅভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট ও জুলাই বিপ্লবের পরে আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর দলকে সুসংগঠিত করার লক্ষ্যে কাঁচাবাড়ি হাটে একটি আঞ্চলিক কার্যালয় প্রতিষ্ঠা করা হয়। সেখানে সুন্দরভাবে বিএনপির কার্যক্রম চলছিল।
পৌর বিএনপি সদস্য সচিব -কমল লোহানী বলেন-আওয়ামী লীগের দোসররা এখনো সক্রিয় রয়েছে। সবাইকে একত্রিত হয়ে তাদেরকে প্রতিহত করতে হবে।আমরা জেলা নেতৃবৃন্দের সাথে আলোচনা করে লোহানীপাড়ার ঘটনাটির ব্যবস্থা নিবো।
তিনি আরও জানান, কার্যালয়টিতে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান, দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ছবি টাঙানো হয়। এছাড়াও নেতাকর্মীদের বসার জন্য চেয়ার, টেবিল, বৈদ্যুতিক পাখা সংযোজন করা হয়েছিল। কিন্তু গতকাল রাতে আওয়ামী লীগের দুষ্কৃতকারী কার্যালয়ের তালা ভেঙে ভেতরে ঢুকে দলীয় ছবি, ব্যানারসহ আসবাবপত্র ভাঙচুর ও লুটপাট করে নিয়ে যায়। এটা কোনভাবে মেনে নেওয়া যায় না, আমরা হামলাকারীদের গ্রেফতারের জন্য প্রশাসনকে জোর দাবি জানাচ্ছি।
এ বিষয়ে বদরগঞ্জ থানার (ভারপ্রাপ্ত) কর্মকর্তা ওসি এ কে এম আতিকুর রহমান বলেন, গতকাল রাতে কাঁচা বাড়ি এলাকায় মারামারির ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। থানায় একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি এবং মামলা ও রেকর্ড হয়েছে। আসামি ধরার জন্য পুলিশ প্রশাসনের তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে।
কপিরাইট © ২০২৪ (দৈনিক পরিবেশ) সম্পাদক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।
Leave a Reply