মিঠাপুকুর (রংপুর) প্রতিনিধি
০৩ এপ্রিল (বৃহস্পতিবার) রাতে এ ঘটনা ঘটে। শুক্রবার তাঁর শাস্তি ও অপসারণ চেয়ে বিক্ষোভ করেছেন এলাকাবাসী। ওই ইউপি সদস্যের নাম আতিয়ার রহমান। তিনি চেংমারী ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য।
ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে আতিয়ার রহমান অনিয়ম-দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েন। বয়স্ক, বিধবা, কর্মসৃজন কর্মসূচিসহ সামাজিক নিরাপত্তা বলয়ে নাম দেওয়ার কথা বলে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেন। এ নিয়ে সালিশও হয়েছে। ইউপি চেয়ারম্যান রেজাউল কবীর টিটুলের সঙ্গে সখ্যের কারণে তাঁর বিরুদ্ধে কেউ কথা বলতে সাহস পায়নি। চেয়ারম্যান আত্মত্মগোপনে চলে যাওয়ার পর জনগণ প্রতিবাদ জানাতে থাকে।
রামেশ্বরপুর গ্রামের নুর আলম সিদ্দিক স্বাধীন বলেন, ইউপি সদস্য আতিয়ার রহমান অনেক মানুষের কাছে সরকারি সহযোগিতা দেওয়ার কথা বলে লাখ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছেন। বিচার ও সালিশের নামেও টাকা নেন। আমরা তাঁর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।
গত বৃহস্পতিবার রাতে ওই ইউপি সদস্যের রামেশ্বরপুর গ্রামের বাড়িতে শত শত ভুক্তভোগী জড়ো হন। তারা ইউপি সদস্যকে দুর্নীতিবাজ আখ্যা দিয়ে বিক্ষোভ করতে থাকেন। তাঁর অপসারণ ও শাস্তি দাবি করেন। এক পর্যায়ে লোকজন বাড়ি ঘেরাও করে। রাত ১০টার দিকে বাড়ি থেকে কৌশলে পালিয়ে যান ইউপি সদস্য আতিয়ার। রাত ১২ পর্যন্ত বিক্ষোভ চলতে থাকে।
গতকালও বিক্ষোভকরেছেন তারা। ইউপি সদস্যের অপসারণ ও শাস্তি চেয়ে গণস্বাক্ষর নিয়ে ইউএনওসহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করা হয়েছে।
ইউপি সদস্য আতিয়ার রহমান পলাতক থাকায় কথা বলা সম্ভব হয়নি। তাঁর মোবাইল ফোনও বন্ধ পাওয়া গেছে।
চেংমারী ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসক ও উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা মমিনুর রহমান বলেন, ‘ঈদের ছুটিতে আছি। ছুটি শেষে কর্মস্থলে ফিরে বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখব।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিকাশ চন্দ্র বর্মণ বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।