পরিবেশ প্রতিবেদক
সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলার মোসলেম বাজার হতে রংপুর – দর্শনামুখি রাস্তার সাথে সংযুক্ত শুকুরেরহাট ইসলামিয়া আলিম মাদ্রাসার ও প্রাইমারী স্কুলে যাতায়াতের জন্য একটি ইট বিছানো রাস্তা রয়েছে এবং রাস্তাটি শুকুরের হাটের সাথেও সংযুক্ত রয়েছে । কিন্তু দীর্ঘ ৩০ বছর পর হঠাৎ করে স্থানীয় প্রভাবশালীরা রাস্তায় মাটি ফেলে চলাচল বন্ধ করে দেয়, এতে জনমনে অনেক প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
এতে করে মাদ্রাসাটির শিক্ষক শিক্ষার্থীরা ছাড়াও পাশে একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষার্থীদের যাতায়াত সহ শুকুরের হাটে প্রবেশ করা পথচারীদের চরম ভোগান্তি হচ্ছে।
মাটি ফেলে রাস্তা বন্ধ করায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তিনটি গত এক মাস ধরে ভোগান্তিতে থাকলেও কোন পদক্ষেপ নেয়নি প্রশাসন এবং স্থানীয়রা।
একদিকে রাস্তা বন্ধ অপরদিকে প্রশাসনের নিরবতায় স্থানীয়দের মাঝে নানান প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
শিক্ষার্থী মোতাসিম বিল্লাহ, সামিউল, মুরাদ, মেহেদীসহ অনেকেই বলেন আমরা ছোট থেকেই এই রাস্তা দিয়ে চলাচল করছি। হঠাৎ মাটি ফেলে রাস্তা বন্ধ করায় আমাদের এক মাইল ঘুরে মাদ্রাসায় যেতে হচ্ছে। ছাত্ররা এবং পথচারী কষ্ট করে হেটে পার হলেও সাথে থাকা সাইকেল কাঁধে নিয়ে পার হচ্ছেন, এটা আমাদের ছাত্রদের সাথে চরম অন্যায় করা হচ্ছে। ছাত্ররা আন্দোলন করে দেশে পরিবর্তন এনেছে, আমরা আন্দোলনে নামলে কাউকে মানবো না।
মাদ্রাসার সুপার ফজলুল হক বলেন, মাদরাসাটি ১৯৭৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকেই রাস্তাটি দিয়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা চলাচল করে আসছে। কিন্তু হঠাৎ আব্দুল হাকিম ট্রাক্টর দিয়ে মাটি ফেলে রাস্তাটি বন্ধ করে দিয়েছে। যোগাযোগ করা হলেও সে নিজের জমি দাবি করে গত এক মাস ধরে রাস্তা বন্ধ করে রেখেছেন। এমনকি অকথ্য ভাষায় গালিগালাজও করছেন। বিষয়টি ইউএনও স্যারকে লিখিতভাবে জানিয়েছি।
অভিযুক্ত আব্দুল হাকিম জানান, জায়গাটি আমার পৈতৃক সম্পত্তি। এ জন্য আমারা মাটি ফেলেছি। বিষয়টি সমাধান হবে কিনা পরে দেখা যাবে। তার ছোট ভাই মঞ্জুরুল ইসলাম লেলিন সাংবাদিকদের বলেন, আওয়ামী লীগের ইউনিয়ন সেক্রেটারি ছিলাম,ওইখানে আগে বড় গর্ত ছিল আওয়ামী লীগের টাকা দিয়ে ভরাট করেছি। আশেপাশের সবজায়গা আমাদের বাপদাদার। নিজের জায়গায় মাটি ফেলছি সমস্যা কি? শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের রাস্তা বন্ধের বিষয়ে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের রাস্তা বন্ধ তাতে কি। দেখা যাক এখানে কে আসে।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুল মমিন মন্ডল বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের রাস্তা বন্ধ করা অযৌত্তিক।
বিষয়টি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ইউএনও স্যার ও থানা দেখবেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বিকাশ চন্দ্র বর্মন বলেন, অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। প্রাথমিকভাবে বিষয়টি সমাধানের জন্য স্থানীয় চেয়ারম্যানকে বলা হয়েছে
কপিরাইট © ২০২৪ (দৈনিক পরিবেশ) সম্পাদক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।
Leave a Reply