মনির শাহ, বদরগঞ্জ (রংপুর) প্রতিনিধি
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বদরগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সেলিনা আফরোজ, পৌর কৃষি কর্মকর্তা-আরিফুল ইসলাম, কৃষক তাজরুল ইসলাম, বেলাল মিয়া, অহিদুল হক সহ পৌর শহরের প্রায় ১০০ জন কৃষক।
এ সময় উপ-পরিচালক বলেন, উন্নত ব্রি-১০১ জাতের ধান চাষ করে কৃষকরা অনেক লাভবান হবেন। ব্রি-১০১ জাতের ধান চিকন হওয়ায় নতুন আশা জাগিয়েছে। এই ধান খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতে ভূমিকা রাখবে। আমরা কৃষককে এই ধান চাষে উৎসাহিত করবো। উচ্চ ফলনশীল (ইনব্রিড) জাতটি হাইব্রিড ধানের মতোই ফলন দিয়েছে। লম্বা ও চিকন জাতের এই ধানের ভাত ঝরঝরে ও খেতে সুস্বাদু হবে। ব্রি-২৮ জাতের বিকল্প হিসেবে ব্রি-১০১ আবাদ করা যাবে। ব্রি-২৮ জাতের তুলনায় হেক্টরপ্রতি ১ দশমিক ৭৫ টন থেকে ২ দশমিক ৫০ টন বেশি ফলন পেয়ে কৃষকরা লাভবান হবেন।
কৃষকরা এই ধান আবাদ করে পরবর্তী বছরের জন্য বীজ সংরক্ষণ করতে পারেন। প্রদর্শনী প্লটে ধানের বাম্পার ফলন দেখে কৃষকরা আগামী বছর এই জাতের ধান চাষে আগ্রহ দেখাচ্ছেন।
কৃষক তাজরুল ইসলাম বলেন,এই ধানের ফলন হাইব্রিড ধানের মতোই। কিন্তু চাষাবাদে হাইব্রিড ধানের তুলনায় খরচ কম। তাই আগামী বছর আমি এই ধানের আবাদ করবো।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সেলিনা আফরোজ বলেন, ব্রি-১০১ জাতের ধান চিকন ও লম্বা হওয়ায় নতুন আশা জাগিয়েছে। এই ধান খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতে ভূমিকা রাখবে।আমরা কৃষককে এই ধান চাষে উৎসাহিত করবো। এই ধানের আবাদ সম্প্রসারিত হলে দেশের কৃষক ও কৃষি আরও সমৃদ্ধ হবে।