প্রিন্ট এর তারিখঃ মে ১৮, ২০২৫, ১০:০৫ পি.এম || প্রকাশের তারিখঃ মে ১৭, ২০২৫, ১:১৫ পি.এম
তিস্তার পানি বৃদ্ধি, ডুবে গেছে কৃষকের স্বপ্ন

উলিপুর (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধিঃ
কুড়িগ্রামের উলিপুরে তিস্তার চরে কৃষকের স্বপ্ন যেন নিমিষেই শেষ হয়ে গেছে। নদীর পানি বৃদ্ধির ফলে ইতিমধ্যেই ডুবে গেছে ফসলে ক্ষেত। এসব চরের কৃষকরা অনেক আশা ও স্বপ্ন নিয়ে ধারদেনা করে বাদামসহ রবিসশ্য চাষ করেছিলেন। কিন্তু হঠাৎ তিস্তার পানি বৃদ্ধির ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন তারা। এ অবস্থায় কৃষকরা তাদের পরিবার-পরিজন নিয়ে বৃষ্টিতে ভিজে ডুবে যাওয়া ক্ষেতের অপরিপক্ক বাদাম তুলে নিয়ে যাচ্ছেন। শনিবার (১৭ মে) উপজেলার তিস্তা নদী বেষ্টিত দলদলিয়া ও থেতরাই ইউনিয়নের কয়েকটি এলাকা ঘুরে এমন দৃশ্য দেখা গেছে।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে তিস্তা নদীর জেগে উঠা চরে চিনাবাদম ২৩০ হেক্টর, পাট ৪০০ হেক্টর, মুগডাল ১০ হেক্টর, মরিচ ১০ হেক্টর, শাক-সবজি ৫ হেক্টর জমিতে চাষাবাদ করা হয়। কিন্তু কয়েকদিনের মাঝারি ও ভারি বৃষ্টির কারণে তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় এসব রবিশস্য পানিতে তলিয়ে গেছে।
উপজেলার থেতরাই ইউনিয়নের চর গোড়াইপিয়ারের কৃষক লাল মিয়া, ফরিদ শেখ, আলী আকবর, নজরুল ইসলাম, হোসেন আলীসহ অনেকে জানান, দেনার টাকায় এক একর জমিতে বাদাম চাষ করেছি। গত দুইদিনে তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় সব ডুবে গেছে। এখন পথে বসতে হবে। স্বপ্ন ছিল বাদাম বেঁচে লাভবান হবো। এখন তো সব শেষ হয়ে গেল। মানুষের ধারদেনার টাকা শোধ করবো কিভাবে।
দলদলিয়া ইউনিয়নের কর্পূরা এলাকার কৃষক শুকাব্বর আলী জানান, ২০ হাজার টাকা খরচ করে ৫০ শতক জমিতে বাদাম চাষ করেছিলাম। ফলন ভালো হয়েছিল। হঠাৎ তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় ৩০ শতক জমির বাদাম পানিতে তলিয়ে গেছে। চাষবাদ করতে যে খরচ হয়েছে, এখন সে টাকাই আর উঠবে না। একই কথা বললেন ওই ইউনিয়নের রশিদের চর এলাকার আরেক বাদাম চাষি আতিয়ার রহমান।
উলিপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ও কৃষিবিদ মোশাররফ হোসেন বলেন, তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় উপজেলার চারটি ইউনিয়নে প্রায় দুই হেক্টর জমির চিনাবাদাম পানিতে নিমজ্জিত রয়েছে। এসব ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের তালিকা করা হচ্ছে। সরকারিভাবে কোনো প্রণোদনা আসলে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের দেওয়া হবে।
Copyright © 2025 দৈনিক পরিবেশ. All rights reserved.