মেজবাহুল হিমেল, রংপুর
শনিবার সকালে রংপুর আরডিআরএসের সম্মেলনে জাতীয় নাগরিক ও নাগরিক প্রত্যাশা শীর্ষ নাগরিক সংলাপ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ ২০০৮ সালে নির্বাচনী ইশতেহারে যেগুলো দিয়েছিলো তারা সেগুলো করতে পারেনি বা করে নাই বরং তারা স্বৈরাচারের পরিণত হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আমরা নির্বাচন কমিশনকে বলেছি টাকার খেলা বন্ধ করতে। নির্বাচন আসলে টাকার খেলা শুরু হয় সেগুলো যে বন্ধ হয়।
বদিউল আলম বলেন, আমরা যদি সবাই সবার কাজটা করি তাহলে একটা সুন্দর, নিরপেক্ষ নির্বাচন করা সম্ভব। যেগুলো সংস্কারের জন্য রাজনৈতিক দলের সম্মতির দরকার হবে না। সংবিধানের সংশোধন করা লাগবে না, সরকার এগুলো সংস্কার বাস্তবায়ন করতে পারে। আমরা এই সমস্ত সংস্কারগুলো সরকারকে দিয়েছি। তারা এগুলো বিবেচনায় নিয়েছে। রাজনৈতিক দলগুলো যদি সংস্কারের ব্যাপারে একমত হয়ে যায়। এবং তারা যদি নির্বাচনের জন্য দীর্ঘমেয়াদী যেগুলো প্রস্তুতি আছে সেগুলো যদি করা শুরু করে তাহলে দ্রুত নির্বাচন হওয়া সম্ভব।
তিনি আরো বলেন, জুলাই মাসের মধ্যে যদি আমরা জাতীয় সনদ স্বাক্ষর করতে পারি। সবাই যদি একমত হয়। এ ব্যাপারে রাজনৈতিক দলগুলোর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে। তারা যদি রাজি হন। তাদের করণীয়গুলো যদি করেন তাহলে দ্রুত নির্বাচনের পথে আর কোন বাধা থাকবে না। আমরা যদি মনে করি সবাই সবার করণীয় করি তাহলে দ্রুত নির্বাচন হতে পারে। এবং তার মাধ্যমে আমাদের একটি গণতান্ত্রিক উত্তোলন ঘটতে পারে। চাঁদ উঠলে সবাই দেখতে পারবে। জাতীয় সনদের যদি স্বাক্ষর করাতে পারি, তাহলে নির্বাচনে আর কোন বাধা থাকবে না।
তিনি আরও বলেন, স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে আমরা সবোর্চ্চ শক্তি নিয়োগ করেছি প্রতিবাদ করতে ও মানুষকে সচেতন করতে। কিন্তু আবু সাঈদের পথে আনতে পারি নাই। আমরা বুক ফেটে দিতে পারি নাই। সাইদ হিরো, আমার হিরো। আবু সাঈদের বুক পেতে দেওয়ার লক্ষ্য মানুষের উৎসাহিত হয়েছে অনেক মানুষ রাস্তায় নেমেছে আর পতন হয়েছে।
উম্মুক্ত আলোচনায় বক্তারা বলেন, প্রতিটি রাজনৈতিক দলের ৩০% নারীদের সংসদে নির্বাচনে নিয়ে আসতে হবে।
এসময় বক্তব্য দেন প্রধান উপদেষ্টার জাতীয় ঐক্যমত্য কমিশনের বিশেষ সহকারী মনির হায়দার, রংপুর মহানগর সুজনের সভাপতি খন্দকার ফখরুল আনাম বেঞ্জু।
কপিরাইট © ২০২৪ (দৈনিক পরিবেশ) সম্পাদক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।
Leave a Reply