1. admin@dailyporibesh.com : pori@admin :
  2. poribesh11@gmail.com : poribesh admin : poribesh admin
শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ০৮:৫৮ অপরাহ্ন
শিরোনাম:
রংপুরে বদরগঞ্জে খামারিদের নিয়ে আমান ফিড লিমিটেড এর আলোচনা সভা  কেন্দ্র সচিবসহ ২১ জন শিক্ষককে অব্যাহতি মাথায় কাফনের কাপড়, মুখে লড়াই করে বাঁচার স্লোগান মিঠাপুকুরে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে ভেজাল গুড় তৈরি, জরিমানা ২ লাখ। রংপুরে বদরগঞ্জে আলোচিত লাভলু হত্যাকারির বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ  মিঠাপুকুরে আইনের তোয়াক্কা না করে ঘর বাড়ী ভাঙচুর নিখোঁজের দুইদিন পর সবজি ব্যবসায়ীর লাশ উদ্ধার শেরপুরে শ্রীরবর্দীতে সাড়ে তিন বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে বৃদ্ধ গ্রেপ্তার রংপুরে বদরগঞ্জে বিএনপি নেতা লাভলু হত্যাকারিদের ফাঁসি’র দাবিতে  মানববন্ধন  নাগেশ্বরীতে ইউনিয়ন প্যানেল চেয়ারম্যান গ্রেফতার

রংপুরে বদরগঞ্জে ইবতেদায়ী মাদ্রাসা গুলোতে নেই কোন ছাত্র -ছাত্রী তবুও পাচ্ছে  সরকারি অনুদান ও বেতন ভাতা এবং প্রতি বছরে নিচ্ছেন নতুন বই 

  • প্রকাশিত: রবিবার, ৬ এপ্রিল, ২০২৫
  • ৭৯ বার শেয়ার হয়েছে

 

মনির শাহ, বদরগঞ্জ (রংপুর) প্রতিনিধিঃ

রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলায় মোট দশটি ইবতেদায়ী মাদ্রাসা রয়েছে। উপজেলার দশটি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা সহ  ইবতেদায়ী মাদ্রাসা রয়েছে দশটি।  সরকারি ভাবে অনুদান ও ভাতা পায় ছয়টি আর চারটি সরকারি ভাবে অনুদান পায়,কিন্তু ভাতা পায়না।

সরেজমিন গিয়ে দেখা যায় যে, সরকারি ভাবে যে ছয়টি ইবতেদায়ী মাদ্রাসায় অনুদান ও ভাতা পাচ্ছে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলো হচ্ছে -(১) রাজারামপুর মাওলানা হরেন্দ্রনাথ  মোজাহেদুল উলুম স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসা, প্রধান শিক্ষকের দায়িত্বে আছেন -আব্দুল কাদের। (২) কালুপাড়া ফুল পাকুড়ের ডাঙ্গা স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসা, প্রধান শিক্ষক হলেন -আনোয়ারুল ইসলাম। (৩) চান্দা ঘাটি কেরামতিয়া স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী  মাদ্রাসা,প্রধান শিক্ষক -আব্দুস সালাম। (৪) মাষানডোবা তালিমুল হুদা স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসা, প্রধান শিক্ষক -মাওলানা মোঃ নুর জামীল। (৫) ঘৃলাই জামালীয়া দারুল উলুম স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসা, প্রধান শিক্ষক -জাহিদুল ইসলাম। (৬) বানিয়ারঘাট স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসা, প্রধান শিক্ষক -আবুল কালাম আজাদ।

সরকারি ও বেসরকারি  ভাবে অনুদান পায়, তবে ভাতা পায় না, চারটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হচ্ছে -(৭) ফকিরগঞ্জ স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসা, প্রধান শিক্ষক হলেন -আল-আমীন। (৮) দলুয়া সুপারীহাট এরশাদুল উলুম স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসা, প্রধান শিক্ষক -আজম শফিউল্লাহ। (৯) খাগড়াবন্দ  শাহপাড়া ইসলামীয়া স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসা, প্রধান শিক্ষক -শামছুল আলম। (১০) ঘিরনই গাউসউল আজম স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসা, প্রধান শিক্ষক -তারাজুল ইসলাম।

স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসা গুলোতে কোন ছাত্র-ছাত্রী নেই, অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ভেঙ্গেচুরে রয়েছে। তারপরেও ছয়টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পাচ্ছে সরকারি  অনুদান ও ভাতা যুগের পর যুগ ধরে,  আর চারটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নিচ্ছে সরকারি অনুদান।

দশটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রতি বছরে ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস থেকে নতুন বই উত্তোলন করে, তবে সেই বইগুলো পড়ার মতো কোনো ছাত্র-ছাত্রী নেই,  জানার ও ভাবার বিষয় তাহলে বই গুলো কোথায়, এমনকি পূর্বের দিনগুলোতে প্রতিষ্ঠানে আসেনি শিক্ষক মন্ডলীরা, বর্তমানে সরকারি করনের আশায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলোতে আসা-যাওয়া করছে বলে জানা গেছে।

ইবতেদায়ী মাদ্রাসা নাম এর বিষয়ে জানতে চাওয়ায়, উক্ত  প্রতিষ্ঠানের- প্রধান  শিক্ষক আব্দুল কাদের বলেন – রাজারামপুর মাওলানা হরেন্দ্রনাথ মোজাহেদুল উলুম স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসা, হিন্দু সম্প্রদায়ের নামে সরকারিভাবে অনুমোদন পেয়েছে।

এই প্রতিষ্ঠানে চারজন শিক্ষক রয়েছে, তারমধ্যে প্রধান শিক্ষক পাচ্ছে ৩৫০০ টাকা  আর সহকারি শিক্ষক ৩৩০০ টাকা বেতন ভাতা।  কোন ছাত্র-ছাত্রী না থাকার পরেও, ৪০ বছর ধরে ১০ জন ছাত্র-ছাত্রীর  জন্য নতুন বই উত্তোলন করেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা  অফিস থেকে।

চান্দাঘাটি কেরামতিয়া স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী  মাদ্রাসা’র প্রধান শিক্ষক আব্দুস সালাম বলেন -১৯৯৮ সালে উক্ত প্রতিষ্ঠানে যোগদান করেছি, সেই সময়ে  প্রতিষ্ঠানে অনেক ছাত্র-ছাত্রী ছিল বর্তমানে উপবৃত্তি না পাওয়ায় ছাত্র-ছাত্রী কমে গেছে, প্রতিষ্ঠানে পাঁচজন শিক্ষক রয়েছে, তার মধ্যে বেতন ভাতা পাচ্ছে চারজন আর  একজন পাচ্ছে না, প্রধান শিক্ষক ৩৫০০ টাকা ও সহকারী শিক্ষক ৩৩০০  টাকা করে বেতন ভাতা পাচ্ছে।

তিনি আরও বলেন -প্রতিষ্ঠানের যোগদানের পর থেকেই উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস থেকে ৫০ থেকে ৬০ জন ছাত্রছাত্রী নতুন  বই উত্তোলন করে আসিতেছি।

ফকিরগঞ্জ স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসা’র প্রধান শিক্ষক -আল আমিন জানান -২০১০ সাল থেকে উক্ত প্রতিষ্ঠানে কর্মরত আছি,  কোন বেতন ভাতা পাই না, তিনি পরিবেশ প্রতিবেদককে আরও বলেন – প্রতিষ্ঠানে  কোন ছাত্র-ছাত্রীও নেই, তবে ২০১০ সাল থেকে ২৫ সাল পর্যন্ত, ১ শত ১৫ থেকে ২০ জন ছাত্র-ছাত্রীর জন্য মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস থেকে নতুন  বই নেওয়ার বিষয়ে জানিয়েছেন।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার বলেন -দাখিল ও হাইস্কুল নিয়ে ব্যস্ত থাকায় ইবতেদায়ী’র  বিষয়টা ডাইরেক্ট নজরে নেই, তবে স্কুল ও মাদ্রাসাগুলো ভিজিট করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার -মোঃ মিজানুর রহমান  বলেন -এ বিষয়ে মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার  প্রতিবেদন দিবে  এবং তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী  ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন

কপিরাইট © ২০২৪ (দৈনিক পরিবেশ)  সম্পাদক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।

কারিগরি সহযোগিতায়: জাগো হোষ্টার বিডি