পরিবেশ প্রতিবেদক
পেশাদারিত্ব, আন্তরিকতা ও সৃজনশীল দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই তিনি নিজ হাতে পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম শুরু করেন, নষ্ট ও মলিন দেওয়ালে রঙের ছোঁয়া দেন শিশুদের চিত্রকর্ম ও মনীষীদের উক্তির মাধ্যমে। দীর্ঘদিন পর বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে আয়োজিত মনীষীদের উক্তি লেখার ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় পুরস্কার পায় ১৭৪ জন শিশু। তার এই উদ্যোগে একাডেমিতে ফিরে আসে সজীবতা ও প্রাণ।
এই প্রসঙ্গে দিনাজপুর আর্ট একাডেমির পরিচালক আব্দুল্লাহ আবু সাঈদ রুবেল বলেন,
“বিগত ১৯ বছরে আমরা যেটা দেখে এসেছি—পুরনো কর্মকর্তাদের স্বজনপ্রীতি, গার্ডিয়ানদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ, মানহীন পুরস্কার এবং দায়সারা কার্যক্রম। কিন্তু বর্তমানে এম. এ. ওয়াহেদ স্যারের নেতৃত্বে দৃশ্যপট পাল্টেছে। মানসম্পন্ন পুরস্কার দেওয়া হচ্ছে, যা অতীতে কখনো দেখা যায়নি। শিশুদের অংশগ্রহণও বেড়েছে। আমরা আশাবাদী যে এই ধারা অব্যাহত থাকবে।”
একই অনুভূতি প্রকাশ করেন দিনাজপুর শিশু একাডেমির প্রশিক্ষক রাকিউর রহমান পায়েল। তিনি বলেন,
“নতুন কর্মকর্তার মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি আমাদের অনুপ্রাণিত করেছে। এখন একাডেমি যেন শিশুদের স্বপ্ন বুননের একটি ঘর হয়ে উঠেছে। তিনি শিশুদের মতামতকে গুরুত্ব দেন, তাদের কাজের প্রশংসা করেন—এটাই সবচেয়ে বড় অনুপ্রেরণা।”
এদিকে দিনাজপুর জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা (চলতি দায়িত্ব) মো. এম. এ. ওয়াহেদ দৈনিক পরিবেশকে বলেন,
“একাডেমি শুধু একটি ভবন নয়, এটি শিশুদের চিন্তা, সৃজনশীলতা ও মানসিক বিকাশের কেন্দ্র। আমি চেষ্টা করছি সেই পরিবেশ তৈরি করতে, যেখানে তারা আনন্দের সঙ্গে শিখবে, গড়বে ও স্বপ্ন দেখবে। এটি আমার দায়িত্ব, এবং আমি সর্বোচ্চ আন্তরিকতা দিয়ে তা পালনে সচেষ্ট।”
জনগণের প্রত্যাশা, নতুন কর্মকর্তার নেতৃত্বে শিশু একাডেমি আগামীর দিনের শিশুদের জন্য হয়ে উঠবে আলোকবর্তিকা, যেখানে প্রতিটি শিশু তার স্বপ্নের ছবি আঁকতে পারবে স্বাধীনভাবে।
কপিরাইট © ২০২৪ (দৈনিক পরিবেশ) সম্পাদক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।
Leave a Reply