মমিনুল ইসলাম রিপন রংপুর।
ওই সংবাদ সম্মেলনে জাহিদুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, তিনি শহীদ মিনার এলাকায় ইশতিয়াক আহমেদ বাবু নামে এক ব্যক্তির কাছ থেকে ২০১৯ সালের ১৮ মে ১৮ লাখ ৫০ হাজার টাকা জামানত দিয়ে একটি দোকান ও তিনটি গোডাউন ঘর ভাড়া নেন। ভাড়ার মেয়াদ আছে ২০২৮ সাল পর্যন্ত। ওই সময় থেকে দোকান ঘর ভাড়া নিয়ে তিনি টিনের ব্যবসায় পরিচালনা করে আসছিলেন। এরেই মধ্যে দোকান ভাড়ার জামানত বাবদ ইশতিয়াক দুই দফায় আরও ১৩ লাখ ৩৪ হাজার টাকা নেন। এরপর জামানতের টাকা ফেরত না দিয়ে ইশতিয়াক ও তাঁর ভগ্নিপতি মনিরুজ্জামান ওই ব্যবসায়ীকে দোকান ঘর ছেড়ে দিতে বলেন।
জাহিদুল বলেন, আমার জামানত ৩১ লাখ ৮৪ হাজার টাকা দোকানের জামানত দেওয়া আছে। ৩০০ টাকার স্ট্যাম্পে দোকানের চুক্তির মেয়াদ আছে ২০২৮ পর্যন্ত। আমার জামানতের টাকা ফেরত না দিয়ে ইশতিয়াক আমাকে দোকান ছাড়তে চাপ দেন। এ নিয়ে কয়েকবার সালিস বৈঠকও হয়। পরে সাবেক সংসদ সদস্য ও বিএনপি থেকে বহিস্কৃত নেতা মোহাম্মদ আলী সরকার লোক পাঠিয়ে আমাকে দোকান ও গোডাউন ঘর ছাড়তে বলেন। তাঁর কথা না শোনায় গত ২ এপ্রিল দুপুরে ইশতিয়াক ও মনিরুজ্জামান কিছু লোকজন নিয়ে দোকানে এসে সন্ধ্যার মধ্যে দোকান ছাড়ার জন্য আমাকে হুমকি দিয়ে যান। বিষয়টি আমি বদরগঞ্জ থানার ওসিকে অবহিত করি। নিজের ও দোকানের নিরাপত্তার কথা ভেবে এদিন সন্ধ্যার পরে থানায় গেলে সেখান থেকে কয়েকজন পুলিশ সদস্য আমার সঙ্গে দোকানে আসেন। এর পরে সন্ধ্যা সাতটার দিকে সাবেক সংসদ সদস্য ও বিএনপির বহিস্কৃত নেতা মোহাম্মদ আলী সরকার ক্ষুব্ধ হয়ে বিএনপির আরেক বহিস্কৃত নেতা হুমায়ুন কবীরসহ সাঙ্গপাঙ্গদের লাঠি ছোরা বল্লমসহ আমার টিনের দোকানে পাঠিয়ে দেন। তাঁদের সঙ্গে দোকান মালিক ইশতিয়াক আহম্মেদ বাবু ও তাঁর শ্যালক মনিরুজ্জামানও ছিলেন। এসময় তাঁরা জোরপুর্বক আমার দোকানে ঢুকে পুলিশের উপস্থিতিতেই আমাকেসহ দোকানের কর্মচারিদের এলোপাতাড়ি মারপিট করেন। এক পর্যায়ে একজন সন্ত্রাসী আমার ডান পায়ের উরুতে ছুরিকাঘাত করেন। এতে আমার পা থেকে প্রচুর রক্তক্ষরণ হতে থাকে। পরে সন্ত্রাসীরা আমার দোকানে ভাঙচুরসহ ক্যাশ বাক্সে থাকা সারাদিনে টিন বিক্রির প্রায় চার লাখ টাকা লুটিয়ে নেন। এসময় আমার ও কর্মচারিদের আত্মচিৎকারে আশে পাশে থাকা লোকজন ছুটে এলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যান। ঘটনার সময়ে উপস্থিত থাকা পুলিশ সদস্যরা তখন নিরব দর্শকের ভুমিকা পালন করেন। পরে স্থানীয় লোকজন আমাকে সেখান থেকে উদ্ধার করে বদরগঞ্জ হাসপাতালে ভর্তি করে দেন।
জাহিদুল অভিযোগ করে আরও বলেন, সন্ত্রাসীরা ওই সময়ে আকস্মিকভাবে পুলিশের উপস্থিতিতে আমার দোকানে হামলা মারপিট ও লুটপাট করায় আমি ভীতসন্ত্রস্ত্র হয়ে পড়ি।
কপিরাইট © ২০২৪ (দৈনিক পরিবেশ) সম্পাদক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।
Leave a Reply