মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর)শুকুরেরহাট উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচীতে চার শতাধিক বর্তমান ও প্রাক্তন শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন। এসময় শিক্ষার্থীরা শুকুরের হাট উচ্চ বিদ্যালয়ের নানা অনিয়ম ও দূর্নীতি অভিযোগ তুলে ধরে সঠিক বিচারের দাবি জানান।
বিক্ষুদ্ধ শিক্ষার্থীরা জানায়, ঐতিহ্যবাহী শুকুরেরহাট উচ্চ বিদ্যালয়ে দুইটি শ্রেণী কক্ষ ভেঙ্গে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সাবেক সভাপতি মাহবুবুল আলম ও বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক রিপন মিয়া দুটি শো-রুম তৈরী করেছেন।
রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে তারা শ্রেণীকক্ষগুলো ভেঙ্গে ফেলেছেন।
এরফলে শ্রেণীকক্ষের সংকট দেখা দিয়েছে। এর প্রতিবাদ করলেও কোন সমাধান আসেনি। এছাড়াও নিয়োগ বানিজ্য ও স্কুলের উন্নয়নের নামে লুটপাট চলছে প্রতিষ্ঠানটিতে। এরফলে স্কুলের শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। শিক্ষার্থীরা এই বিদ্যালয় ছেড়ে অন্য বিদ্যালয়ে চলে যাচ্ছে, এরফলে ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠানটি সুনাম হারাচ্ছে।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, শুকুরের হাট উচ্চ বিদ্যালয়ের নানা অনিয়ম ও দূর্নীতির তালিকা তুলে ধরে আমরা মিঠাপুকুর, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দেই। এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সরেজমিনে তদন্ত করেন। কিন্তু এখন পর্যন্ত তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়নি। শিক্ষার্থীরা বলেন, আমরা শুনেছি রাজনৈতিক দলের নেতারা বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছেন। ইতোমধ্যে অনেক শিক্ষার্থীকে হুমকিও দিয়েছেন তারা।
মানব বন্ধনে বক্তব্য রাখেন শিক্ষার্থী মোস্তাফিজুর রহমান, শহিদ ইসলাম, হযরত আলী প্রমুখ। তারা বলেন, দ্রুততার সাথে শ্রেণিকক্ষ ভেঙ্গে নির্মিত মার্কেট বন্ধ করে দিতে হবে এবং আমাদের স্কুলের ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে হবে। তা নাহলে কয়েকদিনের মধ্যে আমরা কঠোর কর্মসূচী ঘোষণা করব।
স্কুলের প্রধান শিক্ষকের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান,আমরা স্কুল কমিটির সিদ্ধান্তে এবং বেশ কয়েকটি মিটিং করে মার্কেট নির্মাণ করেছি। তাছাড়া শিক্ষার্থীরা ইউএনও বরাবর অভিযোগ দিয়েছেন। ইউএনও স্যারের সিদ্ধান্ত প্রকাশের আগে আমি কিছু বলতে পারবোনা।
কপিরাইট © ২০২৪ (দৈনিক পরিবেশ) সম্পাদক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।
Leave a Reply